Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
পটুয়াখালীর দশমিনায় বীজ বর্ধন খামার প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার পটুয়াখালীর দশমিনায় দেশের বৃহত্তম বীজ বর্ধন খামার প্রকল্পের উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ ও দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আর বিদেশের কাছে হাত পাতবে না। আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে মাথা উঁচু করে নিজেদের সম্মান রক্ষা করে বিদেশে ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে বেঁচে থাকতে চাই।”

দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি গৃহহীন মানুষের জন্য ঘরের আশা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

দশমিনার বীজ বর্ধন খামারে শুধু আলু নয়, প্রতিটি সব্জির বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খামারে হিমাগারে বীজ সংরক্ষণ করে দেশের চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণকা আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বরিশালকে আবারো দেশের শস্যভাণ্ডারে পরিণত করার প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “দক্ষিণাঞ্চলের একটি মানুষও খাবারের কষ্ট পেলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে। তাই এই অঞ্চল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা হবে।”

নিজেকে ‘দক্ষিণাঞ্চলের মেয়ে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ অঞ্চলের প্রতিটি গৃহহীন পরিবার তাদের থাকার জন্য বসত ঘর পাবে। অবহেলিত এই জনপদের মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক অধিকার পাবে।”

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী পৌঁছানোর পর দশমিনার চর বাশবাড়িয়ায় বীজ উৎপাদন খামার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর একই স্থানে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ১ হাজার ৪৪ দশমিক ৩৬ একর জমির পর এই বীজ উৎপাদন খামার গড়ে তুলেছে।